আল আমিন সরকার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের কুয়েত শাখার সভাপতি ও এনটিভির প্রতিনিধি আল আমিন সরকারের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এতে তিনি কুয়েতে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন ও রাজনৈতিক কাউন্সেলর মনিরুজ্জামানকে বিতাড়িত করার হুমকি দেন।

অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী। এছাড়া নতুন রাষ্ট্রদূত এবং কাউন্সেলরকে আল আমিনের এ ধরণের হুমকিতে বিব্রত হয়েছেন কুয়েত বিএনপির অন্যান্য নেতারা।

আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি প্রায়ই এ ধরনের উগ্র আচরণ করেন। বিএনপির কুয়েত শাখার পক্ষ থেকে তাকে সর্তক করা হলেও তা আমলে নেননি তাঁতী দলের কথিত এই নেতা।

ভাইরাল হওয়া রেকর্ডটিতে আল আমিনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ও রাজনৈতিক কাউন্সেলর মনিরুজ্জামানকে কুয়েত থেকে বিতাড়িত করব এটা আমার ওয়াদা। কারণ আমি বলি কম করি বেশি। ইনশাআল্লাহ (এটি) করে দেখাব।”

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো অডিও বার্তায় আল আমিনকে দূতাবাসের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করতে শোনা যায়। এ সময় তিনি নিজেকে রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন এবং বলেন দূতাবাসে সাত থেকে আট বছর ধরে আসা-যাওয়া আছে তার। সে কারণে সেখানে তার প্রভাব রয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কুয়েতের তাঁতী দলের সভাপতি হয়েও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন আল আমিন। সংবাদকর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিভিন্ন সভায় উপস্থিত থাকার সুবাদে উভয় সংগঠনের তথ্য ফাঁস ও আদান প্রদানে অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই নিজেকে এনটিভির প্রতিনিধি ও তাঁতী দলের সভাপতি হিসেবে জাহির করে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন আল আমিন।

ভাইরাল অডিও রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, “এমন একটি অডিও শুনেছি। এ ধরনের খারাপ লোকদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত।”

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে আল আমিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেরেছিলেন।

এমটিআই