কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পড়েছে, বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই, কাতার, সৌদি আরবসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়ায়ও এর প্রভাব পড়েছে। নিজ ও দেশের স্বার্থে মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের দেশের ইস্যু নিয়ে কোনো আন্দোলন না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ।

সোমবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং এর পিঠাঘরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান কোনো ইস্যু নিয়ে প্রবাসের মাটিতে কোনো আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, মালয়েশিয়ার নাগরিকেরা ভিনদেশিদের এসব বিক্ষোভ-সমাবেশ ভালো চোখে দেখে না। তা ছাড়া, দেশটিতে বিদেশি নাগরিকদের আন্দোলন, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এ সময় দেশের স্বার্থে নিজ পরিবারের স্বার্থে বিদেশের মাটিতে সকল প্রকার বিক্ষোভ-মানববন্ধন না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরি, কাইয়ুম সরকার, মো. মনিরুজ্জামান মনির, দাতো আক্তার, মো. সাঈদুর রহমান সরকার, এ আর মোহাম্মদ মামুন, এম এম রোসি, মো. আউয়াল রুম্মান, যুবলীগ নেতা তারেক চৌধুরী, মো. আনিছুর রহমান, মওদুদ মোল্লা, ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম জুয়েলসহ অনেকে।

এদিকে গত ২০ জুলাই বাংলাদেশের কোটা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার জিওমেট্রিকা ইউনিভার্সিটিতে মানববন্ধন করে এক বাংলাদেশি ছাত্র। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করে দেশটির পুলিশ। যদিও কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আটকের সময় বাংলাদেশ সরকারবিরোধী অসংখ্য প্ল্যাকার্ড-ব্যানার জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এবং বাংলা কমিউনিটি নেতাদের কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এসব আন্দোলন, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন না করার বিষয়ে সতর্ক করেছে মালয়েশিয়া প্রশাসন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীদের আন্দোলন করার দায়ে ৫৭ জন বাংলাদেশির যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে।

এমজে