জার্মানিতে ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ইউরো ২০২৪ এরপরও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে তল্লাশি জোরদার রাখার আহ্বান করেছেন দেশটির জোট সরকারের এক নেতা।

দেশটির জোট সরকারের দল ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এফডিপির সংসদীয় দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান ড্যুর এ দাবি জানান। তিনি বলেন, ইউরো ২০২৪-এর আয়োজক দেশ জার্মানি এবারের আসর উপলক্ষ্যে সীমান্তে তল্লাশি জোরদার করেছিল। ইউরোর পরও এ তল্লাশি বহাল রাখতে সম্প্রতি ১৬টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের কয়েকজন এ প্রস্তাব করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ড্যুরও একই দাবি জানালেন।

আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বার্লিন সীমান্তে রোববার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত বাড়তি তল্লাশি চৌকি থাকার কথা। মূলত চরমপন্থি, হুলিগান ও অন্যান্য অপরাধীদের চলাচল কমাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সাধারণত পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও সুইজারল্যান্ড সীমান্তে জার্মানির নিয়মিত স্পট চেকপয়েন্ট থাকে না। কারণ এই দেশগুলো শেঙ্গেন অঞ্চলভুক্ত। সেখানেও ইউরো উপলক্ষ্যে এ তল্লাশি চালানো হয়।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানি অনিয়মিত অভিবাসীদের আসা কমাতে জার্মানি সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিভিন্ন সময়ে অনিয়মিত চেক পয়েন্ট বসিয়েছে। অস্ট্রিয়া সীমান্তে ২০১৫ সালে তারা যে চেক পয়েন্ট বসিয়েছে তা আজও আছে।

এদিকে, জার্মানির কেন্দ্রীয় পুলিশ বলেছে, আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ জুলাইয়ের পর সীমান্ত তল্লাশি বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ তাদের সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাব রয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত তল্লাশির প্রতিবেদন দিয়েছে। তারা বলেছে, এ কয়েকদিনে তারা ৬০০টির মতো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ১৫০ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস

এসএসএইচ