মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি।

শুক্রবার (১২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ-এ ‘কমিউনিটি বেসড হেলথকেয়ার : রোড টু অ্যাচিভ ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন। ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে।

রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি বহুমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। সুস্বাস্থ্যের সামাজিক মানদণ্ডের উন্নতির সঙ্গে এ উদ্যোগগুলোর সম্মিলিত প্রভাবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, যা প্রতিবেশী অনেক দেশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রোগনির্ণয়, নিয়মিত টিকাদান, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং প্রয়োজনে উন্নত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণের ব্যাপক উপকার করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাটি চালু করেছিলেন।

রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন, যিনি সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ধারণা দিয়েছিলেন।

সেমিনারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও আলোচকদের মধ্যে ছিলেন মিয়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ড. নান নেইং নেইং শেইন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মিয়ানমারের উপদেষ্টা ড. শক্তিভেল সিলভারেজ এবং ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথের রেক্টর অধ্যাপক ড. হ্লা হ্লা উইন।

আলোচকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অর্থায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করায় গুরুত্ব দেন। মিয়ানমারে দক্ষ জনস্বাস্থ্য কর্মী তৈরিতে ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।

এসএসএইচ