লন্ডনে ‘ভ্যাটল অব ব্রিকলেন ১৯৭৮’ ওপর কুইনমেরি ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করায় লেখক, সাংবাদিক ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট আনসার আহমেদ উল্লাহকে সংবর্ধনা দিয়েছে ব্রিটিশ বাংলাদেশি হিস্ট্রি ফোরাম।

সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের বাংলাটাউনের মাইক্রো বিজনেন্স সেন্টারে ব্রিটিশ বাংলাদেশি হিস্ট্রি ফোরামের আহ্বায়ক ও সেই সময়কার বর্ণবাদী আন্দোলনের নেতা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জালাল উদ্দিন রাজনের সভাপতিত্বে এবং বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মো. রফিক উল্লাহ ও আব্দুল মালিক খানের যৌথ সঞ্চালনায় সম্বর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে বক্তব্য রাখেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সিরাজুল হক সিরাজ, বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র আকিকুর রহমান।

এছাড়া, বর্ণবাদ প্রতিরোধে সেসময় যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তৈমুছ আলী, কমিউনিটি নেতা সুন্দর মিয়া, সমাজসেবী জামাল মিয়া, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র সয়ফুল আলম, শেখ নূর ও সাবেক কাউন্সিলার নূরউদ্দিন আহমদ।

সভায় বক্তারা এ দুর্লভ গবেষণা ও মহৎকর্ম সম্পাদন করায় আনসার আহমেদ উল্লাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই থিসিস পূর্ব লন্ডনের বাঙালিদের জন্য একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিল। যদিও এর আগে দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান লেখক-সাংবাদিকরা বর্ণবাদ এবং ব্রিটেনে বাঙালিদের বসতি স্থাপন নিয়ে লিখেছেন।

তারা বলেন, তবে এ বিষয়ে গবেষণার জন্য আনসার আহমেদ উল্লাহর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটি একটি খাঁটি এবং অনন্য দলিল। আমরা আশাবাদী তার থিসিস বই আকারে প্রকাশিত হবে। তখন ব্রিটিশ সমাজ তথা বিশ্ববাসী জানতে পারবে, বিলেতে বাঙালিদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সাফল্যের কথা।

এর আগে, একই ভ্যানুতে সদ্য প্রয়াত বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্দুল নূর স্মরণে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। 

সেসময় বক্তারা বলেন, আব্দুল নূর ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ছিলেন। তার অবদান কমিউনিটি চিরদিন স্মরণ করবে। 

এতে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মী ছাড়াও কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

কেএ