প্রায় এক যুগ পর আকামা পরিবর্তনের খবরে আনন্দিত কুয়েতের লাখো প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশটিতে কাজ করতে আসা গৃহকর্মীরা। কুয়েতের ২০ নম্বর ভিসা বা ‘খাদেম-গৃহকর্মী ভিসা’ পরিবর্তন করে ১৮ নম্বর ভিসা বা ‘শন-বেসরকারি খাত ভিসা’ করার পরিকল্পনা করছে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম আল রাই ও আরব টাইমে প্রকাশিত সংবাদসূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

খবরে বলা হয়, কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমবিষয়ক বিভাগ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জনশক্তি আমদানির জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করেছে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সরকারি জনশক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ। ওই বৈঠকে শ্রম অভিবাসন খাতকে গতিশীল ও সুসংহত করার লক্ষ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতি নিয়ে আলোচনা হয়।

সেই সময় কুয়েতের জনশক্তি বিভাগকে একটি খসড়া প্রস্তুত করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। বলা হয়, গৃহকর্মীদের বেসরকারি খাতে কাজ করার জন্য ভিসা ১৮-তে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দুই মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পরিবর্তনশীল যোগান ও চাহিদার নিরিখে শ্রমবাজারে ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে ভিসা পরিবর্তন।

একাধিক প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেসব প্রবাসী গৃহকর্মী ভিসায় আসার পরে মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে অন্যত্র কাজ করেন তারা এই সুযোগ বেশি কাজে লাগাতে পারবেন। কুয়েত সরকারের এমন সিদ্ধান্তে আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

কবে থেকে এই আইন বাস্তনায়ন শুরু হবে?

প্রবাসীরা কোন ধরণের শর্তসাপেক্ষে আকামা পরিবর্তনের সুযোগ পাবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি কাতার কর্তৃপক্ষ। তবে খুব শিগগির এ আইন বাস্তবায়ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমজে