পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তোতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পর্তো’ সংস্কৃতি চর্চায় পুরস্কার পেয়েছে। পর্তুগালের কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এক্সেসো কুলতুরার ২০২৪ সালের ইভেন্টে আভিবাসীদের সহযোগিতা ও সংস্কৃতি চর্চায় অবদানের জন্য "প্রেমিয় এক্সেসো কুলতুরা-মিকায়েলা ডানতাস ২০২৪" পুরস্কার লাভ করে ‘ বাংলাদেশ কমিউনিটি পর্তো’। 

গত ১৯ জুন রাজধানীর লিসবনের মারভিলাতে একটি অডিটোরিয়ামে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পর্তো এর সভাপতি শাহ আলম কাজলসহ সংগঠনের বিভিন্ন সংস্কৃতিক কর্মী, পর্তো সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এই আসরে ৩০টির মত সংগঠন থেকে পাঁচটি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। 

এই পুরস্কার ঘোষণার পর পর্তো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রুই মোরেইরা তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি যখন দেখি সংস্কৃতি চর্চায় অভিবাসীরা আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে অবদান রাখছে, এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত বড় আনন্দের বিষয়। এই প্রকল্পে জড়িত বাতাল্লা এর পরিচালক গিলারম ব্লাংক এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির পর্তো প্রতিনিধিত্বকারীদের বিশেষ অভিনন্দন।

সংগঠনটির সভাপতি শাহ আলম কাজল বলেন, নিঃসন্দেহে এটা একজন বাংলাদেশি হিসেবে গর্বের। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য পর্তুগালে তুলে ধরতে পেরে আমরা এখানকার পর্তুগিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কৃত হচ্ছি। এর অর্থ হচ্ছে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে পর্তুগালে আগলে রাখতে পারবো। ফলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পর্তুগালের থেকেও বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। 

বন্দর নগরী পর্তোতে ভীজিনোস বাতাল্লাউড (Vizinhos Batalhawood) প্রকল্পে বাতাল্লা সেন্ট্রো দে সিনেমা এর সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার লাভ করে সংগঠনটি। প্রকল্পটিতে গত ২০২৩ সালে বছরজুড়ে বাংলাদেশি খাবার থেকে শুরু করে সিনেমা, নাচ, গান, ধর্মীয় আচরণ অনুষ্ঠানসহ দেশীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয়। কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এক্সেসো কুলতুরা গত ১০ বছর যাবত পর্তুগালে সংস্কৃতি চর্চায় অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। সংস্কৃতির সামাজিক স্বীকৃতি হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে সমাদৃত।

এমএসএ