জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান জীবন ও চিরায়ত আদর্শকে স্পেনের জনপরিসরে উপস্থাপনের লক্ষ্যে পরিচালিত চলমান জনকূটনীতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশটিতে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মাদ্রিদের অভিজাত এমকে-টু পালাসিও দে ইয়েলো প্রেক্ষাগৃহে বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম স্পেনেই বায়োপিকটি জনসাধারণের সামনে প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বায়োপিকটি বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের নিবিড় সহযোগিতার এক অনন্য স্মারক। 

জাতির পিতার জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে বিপুলসংখ্যক দর্শকের সমাগম ঘটে। স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, দেশটিতে নিযুক্ত ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, সুদান, মালি, গাম্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতসহ কূটনৈতিক ক্যোরের সদস্য, স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাগতিক সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সিনেমা হলে উপস্থিত হয়ে এটি উপভোগ করেন। 

স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ অতিথিদের স্বাগত জানান। 

প্রদর্শনীর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য সমার্থক, অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য। বায়োপিকটি বাঙালি জাতির মুক্তি, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়দীপ্ত অভ্যুদয় ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নিবেদিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর মহাকাব্যিক জীবন ও অপরিসীম আত্মত্যাগের এক সত্যনিষ্ঠ ও অনবদ্য রূপায়ণ। 

বায়োপিকটি প্রদর্শনীর পূর্বে স্পেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীনেশ কে পাটনায়েক শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। 

আমন্ত্রিত দর্শক-শ্রোতারা বায়োপিকটির প্রশংসা করেন। তারা জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার অমর স্মৃতির উদ্দেশে অকুণ্ঠচিত্তে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

উল্লেখ্য, গত ৩১ মে বার্সেলোনার স্বনামধন্য প্রেক্ষাগৃহ সিনেমেস জিরোনায় বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়। 

কেএ