ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) পার্লামেন্টের নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে প্রকাশ্যে রাস্তায় হামলার শিকার হয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেন। দেশটির রাজধানী কোপেনহেগেন শহরের কুলতরভেত এলাকার শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যার দিকে এ হামলার শিকার হন তিনি।

প্রকাশ্যে রাস্তায় একজন যুবকের এ হামলা ও হামলাকারীর নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত হামলাকারীর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেনের ওপর কেন এ হামলার ঘটনা ঘটল তা গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রীর অফিস বলছে, এ ঘটনায় মিতে ফ্রেডিরিকসেন হতাশ হয়েছেন।

জানা যায়, হামলার শিকার হওয়ার আগে মিতে ফ্রেডিরিকসেন ইইউ নির্বাচনে তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ক্রিস্টেল শ্যাল্ডেমোজের সঙ্গে এক নির্বাচনী কাজে অংশ নিয়েছিলেন।

দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী অল্ড ম্যারি (১৮) ও অল্ড এনা রাভেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে একজন যুবক খুব সজোরে প্রধানমন্ত্রীকে ধাক্কা মারেন যখন তিনি রাস্তা দিয়ে নরেপোর্ট থেকে স্ট্রোগেট এর দিকে যাচ্ছিলেন। হামলার সময় দুজনের মধ্যে কোনো কথা কাটাকাটির বিষয় ঘটেনি। যুবকটি বিপরীত দিক থেকে এসে প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে কাছের একটি ক্যাফের চেয়ারে তিনি বসে পড়েন।

এদিকে, প্রকাশ্যে রাস্তায় একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা, হামলাকারীর নির্বিঘ্নে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া, হঠাৎ এমন হামলার উদ্দেশ্যইবা কী এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীইবা কোথায় ছিল এসব নিয়ে সর্বত্র প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্ব নেতাদের নিন্দা

এদিকে, হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নিন্দা জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতেরি অর্প এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ও ইউ পার্লামেন্টের সভাপতি উল্ফ ক্রিস্টাসন।

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমে বলেন, আমি মুক্ত এই সমাজে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন নেতার ওপর এ হামলার কঠোরভাবে নিন্দা জানাই। কঠিন এসময়ে মনোবল শক্ত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী রোবার্তো মেটসোলা এক্সে এক পোস্টে বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন নেতার ওপর এ হামলা মূলত গণতন্ত্রের ওপরই হামলা। রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে তার ওপর।

এসএসএইচ