চট্টগ্রাম ক্লাব অস্ট্রেলিয়া (সিসিএ) আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী মেজবান। সিডনির মিন্টোতে রোববার (২৬ মে) বিকেল ৫টায় শুরু হয়ে মেজবান চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।

আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি গরুর গোস্ত, নলা, ছোলা ডাল, ভেড়ার গোস্ত, মুরগি এবং সাদা ভাত। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি অন্য দেশি মিলে তিন হাজারের বেশি লোকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশি কায়দার আপ্যায়ন ছিল নজর কাড়ার মতো।

এবারও সিসিএ মেজবানে কোনো প্রবেশ মূল্য রাখা হয়নি। বিনামূল্যে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়। তবে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ছিল।

পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সিসিএ সেক্রেটারি সাদীয়া হকের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ও স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল উপভোগ্য।

সিসিএ সভাপতি ড. শেখ সালাউদ্দিন স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে অভিনন্দন জানান। তিনি অনুষ্ঠানে আগত বিশেষ অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং সিসিএর বিভিন্ন জনসেবা মূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

সিসিএ মেম্বারদের পক্ষে সৈয়দ আকরাম উল্লাহ অর্থনৈতিক বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং মূল স্পন্সরদের পরিচয় করিয়ে দেন। রেইন অ্যান্ড হর্ন ইংলেবার্ন এবং এক্সপার্ট ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং ছাড়া অন্য স্পনসরদের মধ্যে নিরালা হোল্ডিংস, ফার্ম ফিনানজ, ইনভেস ট্যাক্স, গুজমান ইঁ গোমেজ, ই এস ওয়াই গ্লোবাল, চিলি বেসিল থাই রেস্টুরেন্ট, মেজবানি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কেটারিং এবং সৈয়দ ব্রাদার্স সুপার শপ ছিল অন্যতম।

ফয়েজ মোহাম্মদের সম্পাদনায় মেজবান উপলক্ষ্যে আকর্ষণীয় ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের লেখা গল্প, কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রকাশ করা হয়। সিডনি প্রবাসী স্বপ্ন ব্যান্ডসহ স্থানীয় শিল্পীরা গান ও নাচ পরিবেশন করেন।

সিডনিতে একসঙ্গে এত লোকের খাবার রান্না করার মতো দুঃসাহসী কাজটি সম্পন্ন করেন মেজবানি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী ও মূল শেফ মাসুম রানা এবং তার দল।

এসএসএইচ