নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে।

শনিবার (১৮ মে) এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধারা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সহ সভাপতি ড. মাসুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিরাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেলকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সুসজ্জিত করা হয়।

কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, নতুন আশা, নতুন উদ্দীপনা আর নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে নববর্ষ আমাদের মাঝে এসেছে। বিগত দিনের সব গ্লানি, সব হতাশা আর ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে জীবনের নতুন জয়গানের বার্তা নিয়ে এসেছে নববর্ষ। হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক চেতনার এক মূল স্তম্ভ হচ্ছে আমাদের প্রাণের বৈশাখী উৎসব।

নববর্ষের উৎসাহ-উদ্দীপনাকে যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রক্রিয়াকে আরও বেগবান ও ত্বরান্বিত করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের উভয়কে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা উপস্থাপন করেন ডেপুটি কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান ও প্রথম সচিব প্রসূন কুমার চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের আনন্দধ্বনি, শিল্পকলা একাডেমি ও বাফা দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, গ্রাম-বাংলার লোকজ গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে।

আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রকার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এনআই/এসএসএইচ