কানাডায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে কানাডার টরন্টোতে মাউন্টব্যাটেন স্যালন চেলসিয়া হোটেলে বিদেশি কূটনৈতিক, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, টরন্টোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে আনন্দঘন পরিবেশে এক বর্ণাঢ্য রিসিপশন এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্লামেন্টারি অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য মিনিস্টার অফ সিটিজেনশিপ অ্যান্ড মাল্টিকালচারিজম অ্যাফেয়ার্সের শেরেফ সাবাওয়ি, এমপিপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি লিডার অফিসিয়াল অপোজিশন মেম্বার অফ দ্য প্রোভেন্সিয়াল পার্লামেন্ট অফ আন্টারিওর ডলি বেগম এমপিপি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল এডভাইজার টু দ্য প্রিমিয়ার, ইন্টার গভারমেন্টাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড প্রটোকল অফিস অফ দ্য প্রিমিয়ার অফ অন্টারিও এর অনীশ দ্বিবেদী এবং চিপ অফ প্রটোকল অ্যান্ড ডিরেক্টর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন মিনিস্ট্রি অফ ইন্টার গভার্নমেন্টালের কারা রোশন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সূচিতে ছিল বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার উপর ভিডিও ও তথ্যচিত্র পরিবেশন বক্তব্য উপস্থাপন এবং কেক কাটা।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মো. ফারুক হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সকলকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে বাঙ্গালীদের অধিকার ও আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে অটল ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু সব সময় একটি সুখী উন্নত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগের নানান সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে তিনি কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগের অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ ও কানাডার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ৫২ বছর পূর্তিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অর্থ সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কানাডা সরকারের প্রতিও তিনি ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারে কনসাল জেনারেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অব্যাহত সহযোগিতা প্রদানের কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের সম্মানে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার ও মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এমএ