পর্তুগালে চতুর্দশ সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেট জোটের শীর্ষ নেতা লুইস মন্টিনিগ্রো। গত ২ এপ্রিল লুইস মন্টিনিগ্রো ও ১৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দেশটির চতুর্দশ সরকার গঠন করা হয়।

রাজধানী লিসবনের আজুদা প্রাসাদে রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো সজার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীসহ ১৮ জন মন্ত্রিসভার সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে নাগরিকদের জন্য বেতন কাঠামোর পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এছাড়া কর হ্রাসসহ নাগরিকদের প্রাথমিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানের তার ভাষণে নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন পর্তুগিজরা সরকারের পরিবর্তন করেছে ফলে নতুন সরকারের অনেক দায়িত্ব। নতুন সরকারকে বর্তমান এক কঠিন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়া তিনি আশা প্রকাশ করেন এই সরকারকে সংসদের অন্যান্য দলগুলো সহযোগিতা করবেন।

গত ১০ মার্চ পর্তুগালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদের ২৩০টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০টি আসন পায় অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেট জোট। পরে রাষ্ট্রপতি বিজয়ী দল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার পর নিয়ম অনুযায়ী সংসদের স্পিকার নির্বাচনের জন্য বিজয়ী অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেট জোট শুরুতেই সংকটে পড়ে। 

পরে বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের ৪ বছর সময়কালে দুপক্ষের মাঝে দুই বছর একজন করে স্পিকারের সময়কাল ভাগাভাগি করার চুক্তিতে স্পিকার নির্বাচন সফল হয়। তবে এই সংখ্যালঘু সরকারকে পর্তুগিজ সংসদের যে কোনো বিল পাস করতে হলে এরকম অনেক সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে।

এমএসএ