কানাডার টরন্টোতে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি জমে উঠেছে। বিভিন্ন সংগঠন একসঙ্গে কাজ করছে বর্ষবরণকে ঘিরে। বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশীয় সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

টরন্টোর সংগঠন আর্ট কোয়েস্ট ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক মুখোশ, ব্যানার, ফেস্টুন তৈরি শুরু করেছে। কোমলমতি শিশুদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে আর্ট কোয়েস্টের সোনিয়া জাহান বলেন, আমি বাঙালি। আমার আছে বর্ণমালা, আছে সংখ‍্যাবাচক চিহ্ন, আছে দিন গণনার বর্ষপঞ্জি, ষড়ঋতুর নান্দনিকতার প্রকৃতি। মাঠে ফসলের ঘ্রাণ, প্রাচীন সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৃথিবীতে স্থান করে দিয়েছে একটি গর্বিত জাতিতে।

তিনি বলেন, আমরা টরন্টোতে বাংলা নববর্ষের আয়োজন করে কানাডার সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের সংস্কৃতির পরিচয় ঘটাতে চাই। এ আয়োজন কানাডায় বেড়ে ওঠা বাঙালি সন্তানদের জানতে শেখাবে নিজের পরিচয়। পাশাপাশি কানাডার নাগরিকরা পরিচিত হবে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা সব শ্রেণি, বর্ণ, ধর্মের মানুষকে একত্রিত করার উপযুক্ত স্থান হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

সোনিয়া জাহান বলেন, সবার আন্তরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের বর্ষবরণের প্রস্তুতির কাজ চলছে। বিশেষ করে চারুশিল্পীরা উৎসবের প্রাথমিক উপকরণ তৈরি করছে। সবার অংশগ্রহণের মধ‍্য দিয়ে আগামী পহেলা বৈশাখ সফলতা পাবে এই আমাদের প্রত্যাশা।

এছাড়াও টরন্টোর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন একযোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বৈশাখী মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলা পাড়ার নিকটে ডেনটোনিয়া পার্কে। এর মধ্যেই এ সংক্রান্ত সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। টরন্টোর বাংলা পাড়াজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। গানে গানে অন্ধকার বিতাড়নের আওয়াজ তুলবেন টরন্টোর বাঙালি কমিউনিটি।

পহেলা বৈশাখের দিনটি রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এসএসএইচ