পর্তুগালের ১০ মার্চের জাতীয় নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট গণনা শেষে ডানপন্থি অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাট জোট বিজয় অর্জন করেছে। জোটের শীর্ষ নেতা লুইস মন্টিনিগ্রোকে পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। আগামী ২ এপ্রিল নতুন সরকার গঠন করা হবে বলে রাষ্ট্রপতি নিশ্চিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণাটি রাষ্ট্রপতি খুব তড়িঘড়ি করে দিয়েছেন। পর্তুগিজ প্রবাসীদের ভোট আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা শেষ হয় ২০ মার্চ মধ্যরাতে‌। যদিও বেসরকারিভাবে ডেমোক্র্যাট জোটের আগেই বিজয় নিশ্চিত হয়েছিল। এরপর রাষ্ট্রপতি ২১ মার্চের রাত পোহানোর কিছু সময় আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও সরকার গঠনের তারিখ ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপতি এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর ২১ মার্চ ইইউর একটি দলের সম্মেলনে যোগদানের জন্য ব্রাসেলস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যালয়ে পূর্ব নির্ধারিত ভ্রমণ পরিকল্পনা ছিল। সে কারণে তিনি চেয়েছেন চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই যেন তাকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়।

অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাট জোট অবশেষে প্রবাসী পর্তুগিজদের ভোট পেয়ে সংসদের ২৩০টি আসনের মধ্যে সর্বমোট ৮০টি আসন নিয়ে বিজয় অর্জন করে।

ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলে বর্তমান ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির আগের ৭৭টি আসন ছাড়াও প্রবাসী পর্তুগিজদের ভোটে নির্বাচিত নতুন একটি আসন পেয়ে তাদের সর্বমোট আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮টিতে। ফলে তারা সংসদে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। কট্টর ডানপন্থি দল শেগা পর্তুগিজ প্রবাসীদের সর্বোচ্চ দুটি আসনে জয়ী হয়ে সর্বমোট ৫০টি আসন নিয়ে সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে থাকছে।

এদিকে অ্যালায়েন্স ডেমোক্রেট ৮০ আসন নিয়ে যদি সরকার গঠন করে তবে তা হবে সংখ্যালঘু সরকার। কেননা, যেকোনো বিল সংসদে পাস করতে ১১৬টি ভোটের বা ১১৬ জন এমপির সমর্থন প্রয়োজন হবে। যদিও কট্টর ডানপন্থি দল শেগা তাদের প্রাপ্ত ৫০টি আসন নিয়ে অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাটকে একসঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

অপরদিকে অ্যালায়েন্স ডেমোক্র্যাটের শীর্ষ নেতা লুইস মন্টিনিগ্রো শেগার এ প্রস্তাব শুরু থেকেই নাকচ করে আসছেন। যদিও শেগার প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ভেনটুরা এ বছরের শেষ নাগাদ বাজেট প্রস্তাবের পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এসএসএইচ