জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ স্লোগান সামনে রেখে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি, বিশেষ করে শিশু-কিশোররা উপস্থিত ছিলেন।

দিবসের শুরুতে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর জীবন ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ার নিভৃত পল্লিতে জন্ম নেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বেড়ে ওঠা ছিল বর্ণিল ও চমকপ্রদ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানব দরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুরা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ, স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এসএসএইচ