বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন, ব্রুনাই দারুসসালাম। এ উপলক্ষ্যে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে ব্রুনাইয়ের বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ হাবীব উল্লাহ হানিফ। 

এরপর বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা। হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও শিশুরা এ সময় অংশ নেন। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা ও প্রথম সচিব (শ্রম) আবু বক্কর সিদ্দিকী। এরপর শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ ভালোবাসা, স্নেহের সাক্ষ্যবহনকারী ও বাংলাদেশে শিশুদের উন্নয়ন এবং বিকাশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অসীম অবদানের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে গ্রাফিক নভেল মুজিব শিশুদের সঙ্গে নিয়ে পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ হাইকমিশনার। জাতির জনকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, স্বাধীন দেশ গঠনে তার ভূমিকা ও শিশু কিশোরদের প্রতি তার অসাধারণ মমত্ববোধ ও ভালবাসার কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, গভীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব, অসামান্য আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার চূড়ান্ত প্রেরণা এবং বঙ্গবন্ধু কেবল সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি ছিলেন বাঙালির মুক্তির দূত এবং রাজনীতির এক মহাকবি। 

এমএ