দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পারস্য উপসাগরের তীরে তেল সমৃদ্ধ ধনী দেশ কুয়েত। দেশটি বড় দুইটি কৃষি অঞ্চল হলো অফরা ও আবদালি। দেশটির সরকার লবণাক্ত পানিকে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে সবুজ শাক, সবজি ও ফলমূলের চাষাবাদ ও উৎপাদন ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।

কুয়েতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশিদের মেধা ও পরিশ্রমে মরুভূমি সবুজে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশিদের হাতের ছোঁয়ায় বিভিন্ন জাত ও রঙের শাক, সবজি ও ফলমূল ফলছে। চারদিক ভরপুর সবুজের সমারোহে।

লক্ষ্মীপুর সদরের নুরুল আমিন ও সবুজ আবদালিতে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ করেছেন। তাদের করা বাগানে বিভিন্ন দেশ ও জাতের ১৫ রকমের শতাধিক বরই গাছ রয়েছে।

আপেল কুল বরই, কুয়েতি মিষ্টি ছোট জাতের বরই, এমরাতি বড় বরই, এমরাতি ছোট জাতের বরই, ঢাকার বড় বরই, ৬নং চুকারি লাল বরই, কুয়েতি বেদু ছোট বরই, ওমরতি লম্বা বরই, বাংলাদেশি টক ও মিষ্টি জাতের বরইও রয়েছে বাগানে।

বাগানে কাজ করা প্রবাসী নুরুল আমিন জানান, আমাদের কুয়েতি শখ করে এ বাগান করেছে। কলবের মাধ্যমে এক গাছে কয়েক জাতের বরই চাষ করি। নিয়মিত পরিচর্যা করি, কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করি না। কুয়েতিরা নিজেরা খায়, তাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের উপহার দেয়। আমরা নিজেরা খাই, কখনো পরিচিতি ভাই-বন্ধুরা এলে তারা নিয়ে যায়।

অপর প্রবাসী মোহাম্মদ সবুজ বলেন, এই বাগানে আমরা চারজন কাজ করি, ভাই ও নিজেদের আত্মীয়স্বজন। বরই ছাড়াও বাগানে আমরা ভুট্টা, বেগুন, মরিচ, টমেটো, পাতাকপি, ফুলকপি, লাউ, পেঁয়াজ, শসা সহ বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি চাষ করি।

তিনি বলেন, এ বাগানে কেউ এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। অন্য বাগানের শ্রমিকদের তুলনায় বেতন এবং থাকা-খাওয়া সবমিলিয়ে বেশ ভালো আছি।

এসএসএইচ