পর্তুগালে আগামী ১০ মার্চ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব নাগরিকরা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না অথবা ভ্রমণের কারণে নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না এমন প্রায় দুই লাখের বেশি নাগরিক অগ্রিম ভোট প্রদান করেছেন গতকাল রোববার ৩ মার্চ।

পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা ও আগাম ভোট প্রদান করেছেন। পুরো দেশব্যাপী প্রায় ১২২০টি বুথের মাধ্যমে সকাল আটটা থেকেই এই অগ্রিম ভোটগ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি রাজধানী লিজবনে ভোট দিয়েছেন।

অগ্রিম ভোট প্রদান করার পর একজন ভোটার ক্রিস্টিনা জানান, এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। আপনি সহজেই আপনার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এটি মিলিয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া এটি নির্দিষ্ট তারিখে ভোট দেওয়ার জন্য অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে সাহায্য করে। তার স্থায়ী ঠিকানা কুইমব্রা হলেও তিনি অগ্রিম ভোটের সুযোগ নিয়ে লিসবনে ভোট দিতে পেরেছেন।

পর্তুগিজ নাগরিকদের সঙ্গে সঙ্গেও পর্তুগিজ দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অগ্রিম ভোট প্রদান করেছেন। তবে এদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে আগামী ১০ মার্চের নির্বাচনে ভোট দেওয়া অসম্ভব ছিল।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পর্তুগিজ নাগরিক রেজাউল বাসেত শিমুল অগ্রিম ভোট প্রদান বিষয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা জানান, তিনি বলেন বিষয়টি খুবই চমৎকার। কেননা পূর্বনির্ধারিত কারণে আগামী ১০ মার্চ আমার ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোট না দিতে পারাটা আমার জন্য মন খারাপের কারণ হয়েছিল। তবে এই অগ্রিম ভোট প্রদানের বিষয়টি জানতে পারি এবং অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে আজ আমি আমার ভোট প্রদান করেছি। জীবনযাত্রার সঙ্গে সমন্বয় করে নাগরিক অধিকার প্রয়োগের এই সুবর্ণ সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পর্তুগিজ সরকার ব্যবস্থাকে অভিনন্দন জানান।

ভোটাধিকার প্রয়োগের আইন অনুযায়ী ভোটের এক সপ্তাহ আগে ভোটাররা চাইলে তার পছন্দ অনুযায়ী স্থানে ভোট দিতে পারবেন তবে তাকে অনলাইনে এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অন্যথায় নিজের নিবন্ধিত ভোটার এলাকায় তাকে ভোট দিতে হবে। গত ২০২২ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৩ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি ভোটার অগ্রিম ভোট প্রদানের জন্য নিবন্ধিত করেছিল। তবে এ বছরের নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৭ জন।

পিএইচ