সৌদি আরবের আছির প্রদেশে মোহাম্মদ আলী (৫০) নামে এক বাংলাদেশির গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই প্রদেশের মাহাইলের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মোহাম্মদ আলীর বন্ধু আব্দুর রহিম বলেন, মোহাম্মদ আলী মাহাইল এলাকায় ব্যবসা করতেন। গত বছরের ২২ আগস্ট তিনি নিখোঁজ হন। এরপর পরিচিতরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানকার স্থানীয় থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়।

তিনি আরও জানান, মাহাইলে একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলা থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে লোহা চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ভবনের মালিক কয়েকজন চোরকে আটক করে সেখানকার থানা পুলিশকে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তদন্ত করে। এসময় দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশ ভবনের দ্বিতীয় তলায় যায়। সেখানে একটি রুমের ভেতর আলীর গলিত মরদেহ পায় তারা। পরে তল্লাশি করে পুলিশ মোহাম্মদ আলীর আকামা কার্ড পেয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

আব্দুর রহিম বলেন, নিখোঁজের ১৬৬ দিন পর আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ আকামা কার্ডে থাকা পরিবারের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে আলীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে মোহাম্মদ আলী শেষবারের মতো দেশে যান। সেখানে লেনদেনজনিত সমস্যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন দেশে আসতে পারেননি। তার কফিলের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব ছিল বলেও জানতাম।

নিহতের স্ত্রী পারভিন আক্তার জানান, তার স্বামী দেশে আসতে না পারলেও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার স্বামীকে কেউ হত্যা করে মরদেহ পরিত্যক্ত ভবনে রেখে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে তিনি তার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।

মোহাম্মদ আলী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

এসএসএইচ