টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ কাউন্সিলের সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে এফইসির সদস্য, বিভিন্ন জাপানি কোম্পানির নির্বাহী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে গত ১ জানুয়ারি নোটো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, এ সফর জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের অটুট ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।  

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জাপানের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সেমিনারে দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ, মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. আরিফুল হক এবং প্রথম সচিব (শ্রম) মো. জয়নাল আবেদীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্যমূলক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

এফইসির সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিরোইউকি ইউশিতা তার বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন— এ ফোরামে মতামত বিনিময় এবং উন্মুক্ত আলোচনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আরও আগ্রহ ও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

পরে মারুবেনি করপোরেশন, সুমিটোমো কর্পোরেশন এবং আজিনোমোটো গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সম্পর্কে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

মিশন উপপ্রধান শাহ আসিফ রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট সব ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।

এমজে