বার্সেলোনায় বন্ধুসুলভ মহিলা সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠান। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বার্সেলোনার স্থানীয় একটি হলে সংগঠনের সভাপতি শিউলি আক্তারের সভাপতিত্বে এবং জান্নাতুল ফেরদৌস নিগার ও মিতু এবং কিশমার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসব। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দূতাবাসের মিনিস্টার পলিটিক্যাল ও ডেপুটি চিফ আবদুর রউফ মন্ডল, সিটি কমিশনার ইভান পেরা ইসরাত, সিউতাত ভেইয়ার কাউন্সিলর সোনিয়া বেলত্রান, কাতালুনিয়ার পার্লামেন্টের সাবেক এমপি মারিয়া দান্তে, বাংলা স্কুল বার্সেলোনার সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদুল সুহেদ, সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি, অ্যাসোসিয়েশ কোলতুরাল উমানেতারিয়া দে বাংলাদেশ এন কাতালোনিয়ার সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার, সাধারণ সম্পাদক শফিক খাঁন, সহ সম্পাদক রুপা আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ভূইয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা কামরুজামান, ভয়েস অব বার্সেলোনার সাধারণ সম্পাদক এ আর লিটু, কাতালোনিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান,কাতালোনিয়া যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ কমিউনিটি শান্তা কলোমার সিনিওর সহ সভাপতি মোখলেছুর রহমান নাসিম, শান্তাকলমা কমিউনিটি নেতা এ কে আজাদ মোস্তফা, শরীয়তপুর জেলা সংগঠনের সহ-সভাপতি সাগর খান, সহ-সভাপতি রুবেল মাদবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এমারত মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ জেলা সমিতি সভাপতি, ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক মন্জুরুল হাসান শুভসহ স্হানীয় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। 

পিঠা উৎসবে বন্ধুসুলভ মহিলা সংগঠনের নেত্রীবৃন্দের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন— প্রধান উপদেষ্টা নাজমা জামাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি খাদিজা আক্তার মনিকা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জেরিন দিবা, সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা জামান, লাবিবা আক্তার, হালিমা আক্তার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারহানা শিমুল, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহিনা মুন্নী, প্রচার সম্পাদিকা শাম্মা পারভেজসহ আরও অনেকে।

পিঠা উৎসবে বাহারি নকশার মুখরোচক সব পিঠার মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, নারিকেল দুধ পুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই পিঠা, মালপোয়া পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, সন্দেশসহ মজার সব সুস্বাদু ও নজরকাড়া পিঠা।  

উৎসবে নারীরা প্রায় ৬০ রকমের পিঠা প্রদর্শন করেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শিউলি আক্তার বলেন, প্রবাসে কর্মচাঞ্চল্যের পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতিকে সবার কাছে উপস্থাপন করতে এই আয়োজন আমরা অব্যাহত রাখব। 

তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতির বড় বিষয়ই হলো উৎসব ও আনন্দ। এই উৎসবে প্রবাসে জন্ম নেওয়া শিশু কিশোররা বেশ আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সব পিঠা উৎসবে অংশ নেন। আমাদেরই দায়িত্ব প্রবাসে বেড়ে ওঠা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ইতিহাস-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে তুলে ধরা। উৎসবে আসা প্রবাসীরা বলেন, এইভাবে আমাদের আগামী প্রজন্মকে বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।