বিদেশে বাংলাদেশ হাই-কমিশনগুলোতে প্রবাসীদের যেসব সেবা দেওয়া হয় তার মধ্যে সবার প্রথমে আসে পাসপোর্ট সেবা। কিন্তু মিশনের সামনে ঘুরে-বেড়ানো দালালের দৌরাত্ম্যে পাসপোর্ট সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। দালালের কাছে প্রতারিত হয়ে কেউ কেউ হাইকমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন।

তবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কার্যকরী ভূমিকায় কমেছে দালালের দৌরাত্ম্যে, বেড়েছে সেবার মান। করোনাকালীন সময়ে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা নির্বিঘ্নে করতে মালয়েশিয়ার পোস লাজুর মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ এবং ডেলিভারি সেবা চালু হলে কমে দালালের উৎপাত।

অন্যদিকে দালালির কফিনে শেষ পেরেক মারেন পাসপোর্ট ও ভিসা কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কেয়ামউদ্দিন। এ কর্মকর্তা দায়িত্ব নিয়েই হাইকমিশনারের দিক-নির্দেশনায় ঢেলে সাজান পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল সেবা কার্যক্রম।

এদিকে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি বিশেষ সেবার আওতায় প্রতি মাসে ৩ দিন কুয়ালালামপুরে সিটি ব্যাংক মানি ট্রান্সফার হেড অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হয়। সেখানে দালালের আনাগোনা বাড়লে দালালকে আটক করে পুলিশে দিলে কমে যায় দালালের দৌরাত্ম্য।

মালয়েশিয়া প্রবাসী যশোরের সাকিল আহমেদ বলেন, আগে হাইকমিশনে পাসপোর্ট সেবা নিতে গেলে গাড়ি থেকে নামার আগেই দালালরা ঘিরে ধরতো, কেউ কেউ হাত ধরে টানাটানি করতো ভাই কি লাগবে আসেন। এখন এসব নেই, হাইকমিশনের এমন ভূমিকায় আমরা প্রবাসীরা স্বস্তি পাই। এ জন্য মিশনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।

দুতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং এর প্রথম সচিব এ এস এম জাহিদুর রহমান বলেন, মিশনের কর্মকর্তারা ধন্যবাদ প্রাপ্তির আশায় কিছু করে না। আমরা দায়বদ্ধতা থেকেই প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

এদিকে মালয়েশিয়ায় শিগরিরই বহুল প্রত্যাশিত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তবে ই-পাসপোর্ট সেবাদানে বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পাওয়ায় ফের দালালের দৌরাত্ম্য বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রবাসীরা।

এমএসএ