দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আউটসোর্সিং সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক নগরী দুবাইয়ের কারামায় উদ্বোধন হলো বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের আধুনিক আউটসোর্সিং সেবা কেন্দ্র।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সেবা কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন দুবাই কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহজ ও দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের লক্ষ্যে এ আউটসোর্সিং সেবা কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন সেবা প্রদান শুরু করেছে। তাদের যে কোনো সেবার জন্য মোট সার্ভিস চার্জ করা হয়েছে ৪৫ দেরহাম।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসবান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও সরকারের সঙ্গে ফশওয়া গ্লোবাল নামে একটি মালয়েশিয়ান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। কোম্পানিটি শুরুতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যু ও নবায়ন মাধ্যমে কার্যক্রম প্রদানের লক্ষ্যে এ সেবা চালু করেন।
প্রায় ৭ হাজার বর্গফুটের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক আউটসোর্সিং সেবা কেন্দ্রটি দুবাই আল-কারামা উম্ম হুরায়রা, ০৩ রিম রেসিডেন্সি বিল্ডিংয়ে অবস্থিত। এই কেন্দ্র থেকে প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রবার আবেদনকারীরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিজেদের আবেদন জমা দিতে পারবেন প্রবাসীরা।
ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এখানে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে এবং ১৩টি সার্ভিস কাউন্টার স্থাপন করেছে। তারমধ্যে ৭টি কাউন্টার এখন চালু করেছে। এ ছাড়া আউট সোর্সিং কোম্পানি তাদের প্রদানকৃত সেবার জন্য কী পরিমাণ সার্ভিস চার্জ পাবেন, তা স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে এসে দুবাই কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ে কনস্যুলেট সেবাসমূহ আউটসোর্সিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কিছু কনস্যুলেট সেবা ফশওয়া গ্লোবাল নামের একটি মালয়েশিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠান চালু করেছে। দীর্ঘদিন প্রবাসীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাচ্ছন্দ্য নির্বিঘ্নে এবং আরামদায়কভাবে তারা সেবা পেতে চান। তাই সরকারের চুক্তি অনুযায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই সেবা কেন্দ্রে প্রবাসীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা গোলাম এম এ আর চিশতি বলেন, বাস ও মেট্রো স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন প্রবাসীরা। সেই অনুযায়ী রাখা হয়েছে সব ব্যবস্থা।
প্রয়োজনীয় টাইপিং, অনলাইন ট্র্যাকিং, পাসপোর্ট হোম ডেলিভারি সেবার পাশাপাশি এখানে রাখা হয়েছে মা ও শিশু যত্ন কেন্দ্র, শিশুদের খেলার জায়গা ও নামাজ আদায়ের স্থান। এই সেবা গ্রহীতাদের যাতায়াতে বিড়ম্বনা কমানোর জন্য বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রধান ফটক থেকে প্রতি ঘণ্টায় বিনামূল্যে সাটল সার্ভিসেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এতে আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসী সাংবাদিক, কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএ