ইংরেজি নতুন বছরকে ঘিরে ইতালির রাজধানী রোমসহ ইউরোপের প্রতিটি শহর নতুন সাজে সেজেছে। বড় বড় শপিংমল, সুপার মার্কেট, দোকান ও রাস্তা এখন উজ্জ্বল আলোয় সেজেছে। বড়দিনের আগমনে ছোট-বড় সবার মনে বইছে আনন্দধারা

সরেজমিনে দেখা যায়, রোমের বড় শপিংমলগুলো বড়দিনের আলোয় আলোকিত এবং নানা ধরনের বাতিতে বর্ণিল সাজে সেজেছে। প্রতি বছর এই দিনটি আসলে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শহরগুলোকে ভিন্নরূপে দেখা যায়। পারায়-মহল্লায় কৃত্রিম গাছে আলোকবাতি দিয়ে সাজানো হয়। ফলে নয়নাভিরাম দৃশ্যে রূপ নেয় দেশটি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্য স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চাঙ্গা হতে থাকে। দেশি-বিদেশি সবার মাঝে উচ্ছ্বাস বিরাজ করে। এ উপলক্ষ্যে বাড়তি কেনাকাটার ধুম পড়ে শপিংমলে। প্রতিটি শপিংমল হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। বিশেষ করে ছুটির দিনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়।

ইউরোপজুড়ে বড়দিনকে যেভাবে সাজানো হয়েছে

লন্ডন থেকে সাবেক ইতালি আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আতিয়ার রসুল কিটন জানান, লন্ডনে বিশেষ করে সেন্ট্রাল লন্ডনে প্রতিবারের মতো এবারও বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে অক্সফোর্ড স্ট্রিট, কানারিওয়ার্পসহ সারা শহরজুড়েই।

জার্মান প্রবাসী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী হাবিব উল্লাহ বাহার ফ্রন্ট ফোর্ট থেকে জানান, বড়দিন উপলক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে জার্মানির প্রত্যেকটি শহর। সুপার মার্কেট, রেলস্টেশনসহ সব স্থানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

ইতালি আওয়ামী মিলান লম্বারদিয়া শাখার প্রচার সম্পাদক মামুন হাওলাদার বলেন, বরাবরের মতো এবারও রাস্তাঘাট দোকানপাট ছোট-বড় সব মার্কেটগুলো অসাধারণভাবে সেজেছে। আমার মনে হয় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একটু বেশিই সাজানো হয়েছে।

স্পেন প্রবাসী সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান জানান, বড়দিনকে ঘিরে স্পেনের বড় বড় শহরগুলো ঝলমলে আলোকছটায় রঙিন হয়ে উঠছে। রাজপথ-শপিংমল সবখানেই চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানি। সব ধরনের ব্যবসায়ীদের মাঝে একটা উৎসব উৎসব ভাব। সারাবছর তারা যে ব্যবসা করেন তার অধিকাংশ লাভের হিসাবটা পরিপূর্ণ হয় বড়দিনকে ঘিরে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের মাস দেড়েক আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় পণ্যের পসরা সাজিয়ে রাখেন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে। এসময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মাঝেও বড়দিনকে ঘিরে উৎসব আনন্দের কমতি নেই।

সেন্ট্রাল লন্ডন, টাওয়ার ব্রিজ থেকে প্রবাসী লেখক রাকেশ রহমান জানান, লন্ডনের বড় দিনে অলিগলি পর্যন্ত সাজানো হয়। বিশেষ করে সার্ধ টাওয়ার নভেম্বর থেকে নানা রঙে সেজেছে। সেইসঙ্গে সেন্ট্রাল লন্ডনের বর্ণনা নাইবা টানলাম।

পর্তুগাল প্রবাসী সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারী জানান, প্রতিবছরই একটি ভিন্ন সাজে পর্তুগালের সবগুলো শহর রঙিন আলোয় আলোকিত হয়। সন্ধ্যার পর শহরগুলোকে মনে হয় যেন এক কল্পনার নগরী, স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীরাও এ আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বের হয়ে পড়েন।

পিএইচ