নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত সাফল্য কামনা করে কর্মসূচি পালন করেছে।
হাইকমিশন শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দীর্ঘ পরিক্রমায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ড অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞাপন
দিবসটি উদযাপন শুরু হয় স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল ভি এম ভূবন কৃষ্ণ এভি এস এম।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজুর রহমান, ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক নিতিন আগরওয়াল, ভারতীয় সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল (অব.) দীপক কুমার, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে অংশ নেওয়া কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন দূতাবাস/ হাইকমিশনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক, স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সশস্ত্র বাহিনীর দিবসের এ কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রসংশনীয় ও চ্যালেঞ্জিং বিভিন্ন তথ্য পত্রের ভিত্তিতে একটি প্রামাণ্য চিত্র ও প্রদর্শিত হয়। প্রধান অতিথি লে. জেনারেল ভি এম ভূবন কৃষ্ণ প্রভুত উন্নতি ও অগ্রগতি অর্জন করায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেন। দুই দেশের তথা দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর এই সুন্দর সম্পর্ক আরো মজবুত ও টেকসই হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারত সরকার ও সে দেশের মানুষের ভূমিকা বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চিরদিন স্মরন রাখবে।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারত প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, দেশে এবং দেশের বাইরে জাতিসংঘের সহযোগিতায় নিরলস কাজ করে সশস্ত্র বাহিনী এখন বিশ্বব্যাপী এক উজ্জল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
এমএসএ