পর্তুগিজরা রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো দি সজা গত শনিবার ঘোষণা দিয়েছিলেন ৭ ডিসেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন। যার ফলে বলা যায় ৭ ডিসেম্বর এ মন্ত্রিসভার শেষ দিন।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মাধ্যমে মন্ত্রিসভা ভেঙে গেলেও দেশটির জাতীয় সংসদ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকছে। কেননা, এমন বেশ কিছু বিষয়ে রয়েছে যা জরুরিভাবে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের সময়কাল বৃদ্ধি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বন্দরনগরী পর্তোতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিস্থাপকতা প্রোগ্ৰামে (পিআরআর) বুধবার বলেছেন, সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তার সরকারের দায়িত্ব, যে তার স্থলাভিষিক্ত হবে তার জন্য সবকিছু প্রস্তুত রাখা। যাতে তিনি তহবিলসহ দেশের প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনায় ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে সরকারের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দেশকে অবশ্যই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেশ থেমে থাকতে পারে না, চলমান প্রক্রিয়ায় আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, যা পরবর্তী সরকার এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এদিকে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ব্যাখ্যা করেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ডিক্রিতে স্বাক্ষর করা কিছুটা দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে ‘পিআরআরের (পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিস্থাপকতা প্রোগ্রাম) জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন বিপন্ন না হয়’, যা পরবর্তী মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হবে।

উল্লেখ্য, পর্তুগিজ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা তার চিফ অব স্টাফ এবং পারিবারিক বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রধানমন্ত্রী ভবনে তল্লাশির কারণে গত ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে ২০২৪ সালের দেশটির বাজেট অনুমোদন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করেননি। তবে তিনি আগামী ১০ মার্চ নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।

২০১৫ সাল থেকে টানা তিনি পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আট বছর তিনি রাজধানী লিসবনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী ইউরোপিয়ান নির্বাচনের আগে যদি দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তি হয় সেক্ষেত্রে হয়ত তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কেননা, তিনি ইউরোপের শীর্ষ নেতাদের জনপ্রিয়তায় অন্যদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন।

এসএসএইচ