পর্তুগালের রাজধানীর লিসবনের কেন্দ্রীয় মসজিদে ‘মুসলিম অভিবাসীদের স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ব ইসলামী পর্যবেক্ষণ নামের একটি সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, পর্তুগালে মুসলিম কমিউনিটিকে সংঘবদ্ধ ও প্রতিবাদী হতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্য ধর্মের পাশাপাশি মুসলমান অভিবাসীরাও পর্তুগালে আসছেন। কীভাবে তারা পর্তুগিজ কমিউনিটিতে সম্পৃক্ত হতে পারেন, কোথায় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, পর্তুগালে ইসলাম ফোবিয়া বা বর্ণ বৈষম্য পরিস্থিতি এবং অভিবাসীদের কী কী সমস্যা রয়েছে– সেমিনারে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার পর্তুগালের প্রতিনিধি ও পর্তুগিজ রাজনীতিবিদ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, পর্তুগালে মুসলিম কমিউনিটিকে সংঘবদ্ধ হতে হবে এবং সামষ্টিক অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। কেননা, পর্তুগালে বিভিন্ন কট্টরপন্থি রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ ও ইসলামকে নিয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। ফলে অভিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও সরকার সব অভিবাসীর জন্য দরজা খুলে রেখেছে। একইসঙ্গে পর্তুগিজ সরকার অভিবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। অথচ অভিবাসীরা পর্তুগিজ অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।

ইসলাম ও বাংলাদেশ নিয়ে পর্তুগালের অন্যতম গবেষক প্রফেসর জোযে মাপ্রিল উল্লেখ করেন ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সব অভিবাসী পর্তুগালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে সবার যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও সমাধান তুলে ধরেন তিনি।
অন্য বক্তারা একই বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন এবং অভিবাসীদের নতুন সংগঠন আইমার সঙ্গে এ বিষয়ে আন্তঃযোগাযোগ এবং সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট (ডিরেকশন) জোসে এস্টেভ পেরেইরা, কেন্দ্রীয় মসজিদের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজ্জাক সেকো, প্রফেসর সেরজিও, প্রফেসর জাবির ইদ্রিস, অদিভেলাস মসজিদের প্রেসিডেন্ট ড. আশফাক, বাংলাদেশি মারতিম মুনিজ জামে মসজিদের প্রতিনিধি রাজিব আল মামুন, গ্রাসা মসজিদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাজাহান, আলামেদা মসজিদের প্রতিনিধি আল আমীন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।

এসএসএইচ