মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশনে গণহত্যার ভুক্তভোগীদের মৌলিক অধিকার নিয়ে জেনেভার ‘প্যালাইস ডেইজ নেশনসে’ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ আন্তর্জাতিক সেমিনারে লেখক, গবেষক, বেসরকারির সংস্থার কর্মী, আন্তঃসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

আফ্রিকান সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজের (এসিডিএইচআরএস) নির্বাহী হান্নাহ ফরস্টার বলেন, জাতিসংঘের সনদের গণহত্যার স্বীকৃতির গুরুত্ব। এটি কীভাবে বিশ্বকে প্রভাবিত করে, তা বর্ণনা করেন তিনি। হান্নাহ ফরস্টার অনেক মৌলিক নীতির একাধিক রেফারেন্স দিয়েছেন, যার দ্বারা গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিরা গণহত্যা করেছে। বিশেষ করে আফ্রিকাতে বারবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তার ফলে বিপর্যয়কর পরিণতি হয়েছে।

সুইজারল্যান্ড-আর্মেনিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (এসএএ) সভাপতি সারকিস শাহিনিয়ান বলেন, নাগোরনো-কারাবাখ সংঘাতটি নাগোরনো-কারাবাখের বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে একটি জাতিগত এবং আঞ্চলিক সংঘাত। ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্য আজারবাইজান স্বঘোষিত বিচ্ছিন্ন রাজ্য আর্টসাখের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের সামরিক আক্রমণ শুরু করে, এটি ২০২০ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে দেখা একটি পদক্ষেপ।

লেখক ও ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেব সরকার বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যাটি ছিল ভয়াবহ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী, তার স্থানীয় সহযোগীরা পরিকল্পিত ও সুসংগঠিত হত্যাকাণ্ড করে। সারা দেশে নির্মমভাবে গণধর্ষণ ও নির্যাতন করে।

আন্তর্জাতিক সেমিনারে আরও আলোচনা করেন ইন্টারফেইথ ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল বিরো দিওয়ারা, ফ্রান্সের কালিরেল কনসিলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ভ্যালেরি ভিক্টোরিন ডমিনিক হেস্টিন প্রমুখ।

আফ্রিকা সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজ (এসিডিএইচআরএস), হিমালিয়ান রিসার্চ অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন (এইচআরসিএফ) এবং ইন্টারফেইথ ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় রেনকন্ত্রে আফ্রিকান পোর লা ডিফেন্স ডেস ড্রয়েটস দে ল’হোম (আরএডিডিএইচও) এ আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে।

/এসএসএইচ/