অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

সকালে দূতালয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল পাঁচটায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্বের শুরু হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বক্তারা পঁচাত্তরের বর্বরোচিত ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে ফেরত এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার জোর দাবি জানান। 
 
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বঙ্গবন্ধুর কর্মময় সংগ্রামী জীবন, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হন। 

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিবেদিত তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। 

 
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

তিনি বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্বের বর্ণনা দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই নিরস্ত্র বাঙালি শক্তিশালী পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।

এমএ