অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ছুটিতে দেশে এসে করোনা পরিস্থিতিতে আটকে পড়েন। ধীরে ধীরে অনেকেই ফিরে গেছেন বিভিন্ন দেশে। তবে কাতার থেকে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীদের অধিকাংশই এখনও ফিরতে পারেননি। আটকে পড়া প্রবাসীদের কাতারে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা। 

ইউনুচ মজুমদার নামে এক কাতার প্রবাসী বলেন, ছুটিতে দেশে গিয়ে করোনার কারণে দীর্ঘ ১৩ মাস আটকে পড়েছিলাম। অনেক কষ্ট করে রিটার্ন পার্মিট পেয়েছি। ১৩ মাস পর কাতারে কর্মক্ষেত্রে ফিরেছি। তবে কাতার থেকে ছুটিতে গিয়ে এখনও দেশে আটকে আছেন অনেকে। অনুমতিপত্র না পাওয়ায় তারা আসতে পারছেন না। 

আটকে পড়াদের কাতারে ফিরে যেতে দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের আরও ত্বরিত পদক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, যারা দেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন তাদের অনেকেই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। দ্রুত তারা কর্মক্ষেত্রে ফিরে এলে পরিবার ও দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।  

ইমতিয়াজ মোরশেদ নামে আরেক কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী বলেন, আমার কোম্পানিতে কাজ করেন এমন ২০০ জনের বেশি বাংলাদেশি এখনও দেশে আটকে আছেন। ছুটিতে যাওয়া বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা কাতারে ফিরছেন। বাংলাদেশ সরকার ও কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিকভাবে আরও তৎপরতা চালিয়ে প্রবাসীদের কাতারে ফেরাতে হবে। 

কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বরের আগে আমার কোম্পানি ও দোকানের অনেক শ্রমিক ছুটিতে দেশে গিয়ে আটকা পড়েন। লোকবল সংকটে কোম্পানি ও দোকান চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

বর্তমানে কাতার থেকে ছুটিতে যাওয়া প্রবাসীদের ফিরে আসার অটোমেটিক অনুমতিপত্র থাকলেও, ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বরের আগে ছুটিতে দেশে যাওয়া প্রবাসীদের ফিরে আসার অনুমতি শর্তসাপেক্ষে করে রাখা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে কাতারে ফিরতে পারছেন না প্রবাসীরা, রিটার্ন পার্মিটের জন্য আবেদন করেও মিলছে অনুমোদন।

এইচকে