সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও উদ্ভাবনী আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সমুদ্র সংরক্ষণের কৌশলগত করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসাগর সম্মেলন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সম্মেলনের চতুর্থ দিনে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৈশ্বিক সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ এবং সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। এসময় তিনি সাগর রক্ষায় বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

মোমেন বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় এবং সমুদ্র দূষণের কারণে উপকূলবর্তী দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর একটি বড় প্রভাব বাংলাদেশের আবহাওয়ার ওপর পড়েছে। সমুদ্র সম্পদ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশের সমুদ্র সীমার  অর্থনৈতিক জোনের ৮ দশমিক ৮ সংরক্ষিত এলাকায় সংরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ, সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য জাতিসংঘের সমুদ্র আইন সংক্রান্ত চতুর্দশ কনভেনশন অনুযায়ী পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, সমুদ্রের পানির স্তর যদি আর এক মিটার বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ জমি পানির নিচে চলে যাবে। কোটি কোটি মানুষ আবাসস্থল এবং আবাদি জমি হারাবে। এটি একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।

সম্মেলনের প্রথম ভাগের অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিসবনে অবস্থিত স্থায়ী শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি তিনি এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

দুই দিনের সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন বলে জানা গেছে।

এমএইচএস