পুরো রমজান মাসে এক সঙ্গে ইফতার করেন থাইল্যান্ডের পাতায়াতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ইফতারকে কেন্দ্র করে সবাই মিলে কেনাকাটা এবং আয়োজনে শরীক হন তারা।
 
থাইল্যান্ডের পর্যটন নগরী পাতায়ার বাংলাদেশি কমিনিউটির এমন ব্যতিক্রম আয়োজন প্রসংশিত হয়েছে সর্বত্রই। প্রবাসী বাংলাদেশি পাতায়া অ্যাসোসিয়েশনের নেত্রীবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজানের পুরো সময়টাতে সকলেই কর্মব্যস্থতা শেষে ইফতারের সময় ছুটে আসেন বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ইন্ডিয়ান হাটে। রমজানের সময় প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৩৫ জন বাংলাদেশি নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন সেখানে।
 
ইফতারের আইটেম হিসেবে বাংলাদেশি এবং থাই খাবারের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশি খাবারের মধ্যে পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা, মুড়ি, ড্রাগন, আম, রামভুটান, লংঙ্গান, বাঙ্গী, পেঁপে, কলা ও তরমুজ রয়েছে। ভারী খাবারের মধ্যে রয়েছে ভাত, গরুর মাস, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল ইত্যাদি। 

ইফতার শেষে রোজাদারদের জন্য নামাজ আদায় এবং নামাজের পর চা ও কফির ব্যবস্থা রয়েছে।
 
প্রবাসী বাংলাদেশি পাতায়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, সকলের নিরলস প্রচেষ্টায় একটা সফল ইফতার আয়োজন করাই এই মহামারির মধ্যে আমাদের অন্যতম সাফল্য। এ আয়োজনের মাধ্যমে পাতায়া শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভাইয়েরা একই ছাদের নিচে আসতে পেরেছি।
 
তিনি আরো বলেন, সকলেই সাধ্যানুযায়ী চাঁদা দিয়ে এই ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আমার রেস্টুরেন্টে সকলেই ইফতারের সময় চলে আসেন। 

কামরুল বলেন, করোনা মহামারির কারণে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ থাকলেও শুধুমাত্র ইফতারের জন্য আমরা খোলা রেখেছি।
 
থাইল্যান্ড প্রবাসী নাজীর আহমেদ সরকার বলেন, আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি পাতায়াতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা। বিশেষ করে রমজানে সকলেই একত্রিত হওয়াটা একটা বড় ব্যাপার। আশা করছি ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে। 

তিনি বলেন, ঈদের দিন নামাজের পর ইন্ডিয়ান হাট রেস্টুরেন্টে একটি মধ্যাহ্ন ও মিষ্টান্ন ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের পর দিন প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রম পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। সারা দিন ব্যাপী একটি ফল বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া হবে সেখানে।

এমএএস