গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশের জন্য জীবন দিতে হলেও আমরা প্রস্তুত। জনগণের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাই সিদ্ধান্ত নেন, আপনারা আপনাদের দেশকে কাশ্মীর বানাবেন নাকি সিকিম বানাবেন; নাকি দেশকে স্বাধীন করবেন! এখন দেশের মুক্তির জন্য জালিম সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামার কোনো বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে আয়োজিত একুশে ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রভাতফেরিতে ঢাকা, টাঙ্গাইল, শেরপুর বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র, যুব শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে করা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, আপনারা দেখেছেন, মহান ২১ ফেব্রুয়ারিতে শ্রদ্ধা জানাতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তারা সাধারণ মানুষদের, আমাদের নেতাকর্মীদেরও হামলা করে। নিউমার্কেটের চাঁদাবাজ ছাত্রলীগের নেতারা ঢাকা কলেজে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। টাঙ্গাইলে আমাদের নেতাকর্মীদের ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়। বাগেরহাট-শেরপুরেও হামলা করা হয়েছে। তাদেরকে রুখে দেওয়ার সময় এসেছে।

আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নাই। আপনারা আমাদের ভাইদেরকে রক্তাক্ত করেছেন, আমাদের বোনদেরকে লাঞ্ছিত করেছেন। আমাদের যদি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায় তার পরিণতি আপনাদের জন্য ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকার গালগপ্প করে আর তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম তা প্রচার করে। বিদেশিরা আমাদের দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে আর আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সঙ্গে আছে। তারা অবৈধ রাজনীতি করছে এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগকে তাদের দুর্বৃত্ত বানিয়েছে। আর এই দুর্বৃত্তরা সারাদেশে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অধিকার পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ গণসংস্কৃতি পরিষদের সমন্বয়ক শওকত হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রমুখ নেতারা।

এইচআর/আইএসএইচ