‘অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২’ জারি করেছে সরকার। নতুন বিধিমালায় মদের লাইসেন্স প্রদানে সহজীকরণের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন ও মুহা. দেলাওয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মদের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে যুব সমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মদের লাইসেন্স দিয়ে একটি জাতিকে বেসামাল করার চক্রান্ত এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। এ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে যুব সমাজকে বেসামাল করে দিতে চায়, একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তারা পাঁয়তারা করছে।

তিনি বলেন, একদিকে বই মেলায় ইসলামী বই প্রদর্শন ও বিক্রি অলিখিত আইনের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে। অপরদিকে যুব সমাজকে মদ, মাদকতা ও বিকৃত কর্মকাণ্ডের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। দেশপ্রেমিক জনতা, যুব সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত কখনো মেনে নেবে না।

অবিলম্বে ইসলামে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করা মদের অবাধ লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। অন্যথায় দেশপ্রেমিক জনতা তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবে বলেও জানান তিনি।

দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে উল্লেখ করে জামায়াত নেতা বলেন, চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অথচ এদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও তারা মদের অবাধ লাইসেন্স দিয়ে সমাজে অরাজকতার সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।

সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর আওতায় নতুন বিধিমালার কয়েকটি ধারা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, মদ কেনাবেচা, পান, পরিবহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স, পারমিট ও পাস নিতে হবে। কোথাও কমপক্ষে ১০০ জন মদের পারমিটধারী থাকলে ওই এলাকায় অ্যালকোহল বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে।

বার বা মদের দোকান খোলা রাখার সময়ও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বিধিমালায়। শুক্রবার, মহররম, শবে বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবী, শবে কদরসহ মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে বন্ধ রাখতে হবে মদের দোকান।

২১ বছরের কম বয়সের ব্যক্তি মদপানের অনুমতি পাবেন না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য চোলাইমদের মহালের সংখ্যা ও অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরএম/এমএইচএস