ভোটাধিকার ফেরাতে এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। 

তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারও বর্তমান সংকটের সমাধান দিতে পারবে না। আমাদের দরকার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। প্রথমত বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বৃহস্পতিবার হাতিরপুল গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের রূপরেখা ও করণীয় : সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৃহত্তর ঐক্য প্রসঙ্গে কথা বলতে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাজ হবে, রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি এবং ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর অর্থাৎ জবাবদিহিতাপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐক্যমত্য তৈরি করতে হবে, যাতে পরবর্তী  গ্রহণযোগ্য সংসদে এ সংস্কার সম্পন্ন করা যায়।

অন্তর্বতী সরকারের কাঠামো প্রশ্নে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমের আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মডেল বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি। 

গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবুর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈকি পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ফাল্গুনী সরকার, দীপক রায়, আলিফ দেওয়ান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এএইচআর/আরএইচ