বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে : রিজভী
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যবসা বাণিজ্য আমদানি রফতানিতে বিরূপ প্রভাব পড়া শুরু করেছে। ক্ষণ গণনা চলছে নিশিরাতের সরকারের বিদায়ের।’
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়ঙ্কর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীর আসন্ন দুর্বার আন্দোলনের আশঙ্কায় সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার এই মুহূর্তে পদত্যাগ না করলে মিটিং-মিছিল-স্লোগান প্রতিরোধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।’
সরকার গুম-অপহরণ-দুঃশাসন চালিয়ে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন গুম-খুন অপহরণের শিকার পরিবারগুলোর শোকার্তরা কাফনের কাপড় পরে স্বজনদের খোঁজে গণভবনের দিকে রওনা দেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি শোকার্ত মানুষের ধারণা প্রতিটি গুমের হুকুমের প্রধান আসামি বসে আছেন গণভবনে। গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ গণতন্ত্র হত্যার বিচার এদেশেই হবে। কারণ এদের জন্য মানবতা ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মধ্যে পরেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাহিনী রূপে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে র্যাবকে। এমন দাবি করে রিজভী বলেন, ‘এদের নিয়োজিত করা হয়েছে পৃথিবীর জঘন্যতম এই অপরাধ সংঘঠনে। এরপর রাষ্ট্রীয় আরেকটি বাহিনী গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশকেও গুম-অপহরণ-বন্দুকযুদ্ধে নামানো হয় গোটা দেশে। এখন সিআইডিকেও গুম-অপহরণে নামানো হয়েছে।’
‘এমন পৈশাচিকতায় তাদের সাজানো গল্প একই থাকে। প্রথমে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া। পরে কখনো অনন্তকালের জন্য নিখোঁজ, কখনো অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ারের হত্যা আবার কখনো রাস্তার ধারে অথবা ডোবা নালা বা নদীতে লাশ পাওয়ার বর্বরতা।’
এএইচআর/এমএইচএস