গণবিরোধী রাজনীতিবিদদের পাশে জনগণ থাকে না
জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেবে না। কারণ, যারা গণবিরোধী রাজনীতি করে, জনগণ তাদের পাশে থাকেন না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে বিএনপি আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছিল, বর্তমানে সেটার ধারাবাহিতা ছাড়া কিছু নয়। খন্দকার মোশারফ সাহেবসহ বিএনপি নেতারা এমন বহু ঈদের পরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবেন এটা অন্তত ১২ বছর ধরে বলে আসছেন।’
‘আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের এক বছর পর থেকেই এই ঈদের পরে, এই শীতের পরে, এই বর্ষার পরে, পরীক্ষার পরে- এ রকম বহু হুমকি আমরা শুনে আসছি। খালি কলসি যে বেশি বাজে, তাদের এই হুমকিগুলোও ঠিক সেরকম ছিল’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খন্দকার মোশারফ সাহেবও যে বক্তব্য রেখেছেন, আগামী ঈদের পরে জাতীয় ঐক্য করে, সরকারের পতন ঘটাবেন সেগুলো আগের বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ছাড়া আরও অন্য কিছু নয়। মানুষ তাদের এই হুমকি শুনে হাস্যরস করে।’
সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম, অতি বাম, সবার সন্নিবেশ ঘটিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের মতো করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ঐক্য করে কোনো লাভ হয়নি। সেটি একেবারে ফানুসের মতো নিভে গেছে। কারণ উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে আছে। জনগণ তাদের (বিএনপি) ডাকে কখনো সাড়া দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।’
বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমাপে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। আমি মনে করি, দেশ গণতন্ত্র সূচকে আরও অনেক ধাপ এগুতে পারত। কারণ, গণতন্ত্র সংহত করা শুধুমাত্র সরকারি দলের কাজ নয়। যারা বিরোধী দলের রাজনীতি করেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকারবিরোধী রাজনীতি করেন, তাদেরও দায়িত্ব এসব নিয়ে কথা বলার। বিএনপি যদি গণবিরোধী রাজনীতি না করত, মানুষ ও গাড়ি জ্বালাও-পোড়াও না করত, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে জনগণকে অবরুদ্ধ করার রাজনীতি না করত, গণতন্ত্র সূচকে আমরা আরও বহু ধাপ এগুতে পারতাম।’
এইউএ/ওএফ