কিছুদিন ধরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সরকারের নিপীড়ন বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে আওয়ামী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অনেকটা বেড়েছে। পত্রিকার খবর লক্ষ্য করলেই এটা দেখবেন।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক সমস্ত স্পেসগুলোকে তারা ধ্বংস করে দিচ্ছে। একটা মিটিং করতে দেয় না। গতকাল আমাদের নয়া পল্টনের অফিসের সামনে ছাত্রদলের ছেলেরা সভা করতে গিয়েছিল। সেখানে জায়গা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। কোনো স্পেস দেওয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা এখন গোটা বিশ্বে স্বীকৃত উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের র‍্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করে দেখবেন এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা তখনই আসে যখন একটা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। জনগণকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে সরকার তখনই এটা (নিষেধাজ্ঞা) হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের সেনা শাসিত সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চরিত্র একটাই।বাংলাদেশ সরকারের যে চরিত্র, মিয়ানমার সরকারের একই চরিত্র। ওরা মিলিটারি ক্ষমতা জান্তা নিয়েছে। মিলিটারি জান্তার সাথে এদের কোনো পার্থক্য নেই। সরকার জনগণকে বন্দুকের নল দিয়ে দমিয়ে রাখছে এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

‘পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক’

গুমের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা হাস্যকর শুধু নয়, অত্যন্ত  দুঃখজনক। কারণ, যাদের সন্তান গেছে, যার স্বামী গেছে, যাদের পরিজন গেছে (ব্যথাটা সে জানে)। বাংলাদেশের মানুষ জানে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এই সরকার তো এখন পর্যন্ত জবাব দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সকলের সামনে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, কারা কারা ভূমধ্যসাগরে সলিল সমাধি হয়েছে তাদের নামগুলো প্রকাশ করুন। যারা গুম হয়েছে তাদের মধ্যে কারা কারা গেছে? তাহলে আমরা মনে করব যে, আপনারা জানেন  ভূমধ্যসাগরে আপনারা কাদের সমাধি করেছেন, আপনারা সেগুলো জানতেন। 

এএইচআর/এইচকে