নয়াপল্টনে উত্তেজনা, বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ
রূপনগরে কর্মীসভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে রোববার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে প্রতিবাদ মিছিল ডাকে ছাত্রদল। ওই মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, ছাত্রদল তাদের ওপর হামলা করেছে।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ ছাত্রদলের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আরও নেতাকর্মীকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানিয়েছে, তারা নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় নয়াপল্টন থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারপর বেশ কিছু সময় ধরে পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। এ ঘটনায় পুলিশ ও ছাত্রদলের কয়েকজন আহত হন। এসময় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, রূপনগরে আমাদের কর্মীসভায় পুলিশ হামলা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে মিছিল বের করলে পুলিশ আবার হামলা করে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ রোববার রাতে অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে নয়াপল্টন থেকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলে পুলিশ মজনুসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।
পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশের পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, সন্ধ্যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করে। আমরা তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বললে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে একজন এএসআই আহত হন। তিনি রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মাথা ফেটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা করে। এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আটক এড়াতে নয়াপল্টন অফিসের ভেতরে ঢুকে নিজেরাই নিজেদের তালা মেরে রেখেছেন। কার্যালয়ের পাশে অবস্থান করছে পুলিশ।
এএইচআর/এআর/আরএইচ/জেএস