আগামী নির্বাচনে জাতিসংঘ মহাসচিবকে আনার প্রত্যাশা
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষ ভূমিকা পালন করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবকে আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতিষ্ঠাতা মিঠুন চৌধুরী।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন ফর্মুলা বিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মিঠুন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে একটি রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা চলছে ৷ শুধুমাত্র সঠিক নির্বাচন ব্যবস্থা নেই বিধায় এ রাজনৈতিক অবস্থা। এ থেকে জাতি মুক্তি চায়। একমাত্র জাতিসংঘ দায়িত্ব নিলেই এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আমরা চাই জাতিসংঘের অধীনে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হোক। সেটা হবে, নির্বাচনকালীন সরকার৷ সময় থাকবে তিন মাস এবং সেই সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে৷ সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বাংলাদেশ জনতা পার্টি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এবং এককভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সারা দেশে গণসংযোগ ও প্রার্থিতা বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করবে৷
তিনি বলেন, আমাদের সরকার হবে মানবতার সরকার, আমাদের সরকার হবে জবাবদিহি সরকার৷ সে পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতিতে আমরা কিছু গুণগত পরিবর্তন আনব। তার মধ্যে রয়েছে; দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি প্রতিষ্ঠা করা হবে৷ রাজনীতিতে কালো শব্দটা পরিহার করা হবে। সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়, সংখ্যালঘু কমিশন ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নির্যাতিত পরিবারগুলোকে আইনি সহযোগিতা প্রদান করা হবে৷ শুধু ঢাকা কেন্দ্ৰীক প্রশাসন নয়, প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। প্রত্যেক বিভাগকে প্রাদেশিক সরকারে রূপান্তরিত করা হবে৷
তিনি আরও বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে, দেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থাকে সার্টিফিকেটমুখী না করে কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে৷ সে লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা ও জেলায় টেকনিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে৷ বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা হবে৷ পার্লামেন্টে উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ প্রতিষ্ঠা করাসহ ধর্মের ভিত্তিতে নয়, সকল নারীদের অধিকার সমানভাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে৷
এমএইচএন/এসকেডি