হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে হত্যার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, ৫ লাখের বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক ৪ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখে হত্যার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আজও তিনি গুরুতর অসুস্থ।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে যে গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকার ক্ষমতায় বসে আছে সে ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে একই কায়দায় মানুষের অধিকার হরণ করা হয়। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে আগের রাতে ভোট দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।

বিচারবিভাগ নির্বাহী বিভাগের আয়নায় সবকিছু দেখতে গিয়ে আইনের শাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করে রিজভী বলেন,  বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রায়ের আগেই বিচারপতিদের স্কাইপি আলাপ দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারে। বিচারকরা আদেশ দেয়ার আগে তাকিয়ে থাকেন নির্বাহী বিভাগের দিকে।

সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা চলছে মন্তব্য করে রিজভী আরও বলেন, কথায় কথায় জারি করা হচ্ছে বিরোধী দলের সমাবেশের উপর ১৪৪ ধারা। ১৪৪ ধারা ভেঙে বেরিয়ে আসছে মানুষ। বিএনপি যেখানেই সমাবেশ দিচ্ছে সেখানেই মানুষের ঢল নামছে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে মানুষ। আওয়ামী লীগ কখনোই নিজেদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না।

বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না সরকার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ওবায়দুল কাদের কাছে প্রশ্ন, সিরাজগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে অস্ত্র হাতে যারা হামলা করেছে তারা কারা? গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে এরা সবাই যুবলীগের কর্মী। তারা এখনও ধরা পড়ছে না কেন? পটুয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা অনেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, গুলি করে অনেককে আহত করেছে, এরা কারা? গাজীপুরের সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল কেন? বাগেরহাটে ছাত্রদলের সমাবেশে বাধা দিয়েছিল কেন? কক্সবাজার, নওগাঁ ও ফেনীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কেন? 

এএইচআর/এইচকে