ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ছবি : পিআইডি।

রাজনীতিতে গুণগত মান নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় তিনি নিজের এমন আশঙ্কার কথা জানান। 

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানায় প্রতিনিধি দলটি। 

প্রতিনিধি দলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। রাজনীতিতে গুণগত মান নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে সঠিক জনমত গড়ে তুলতে হবে।

নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির  ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ছবি : পিআইডি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস অনুবিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

বিকাল সাড়ে ৩টার পরে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি দলের নেতারা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় সাংবিধানিক কাউন্সিলসহ ৬ প্রস্তাব দেয় দলটি। 

এরআগে গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং খেলাফত মজলিস। এ আলোচনায় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি। 

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। ছবি : পিআইডি

২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি। 

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। সংবিধানে কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ আছে। তবে এ সংক্রান্ত আইন দেশে হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গত দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করার পর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেন।

এবার সংবিধান অনুযায়ী আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

এইউএ/এনএফ