দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজকে সারা দেশের দাবি, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠাতে হবে। অথচ নির্দয়, নিষ্ঠুর সরকার খালেদা জিয়াকে ভয়ংকর রকমের কষ্ট দিচ্ছে। 

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে মাজারে ফুল দেওয়া হয়।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে বিভিন্ন রকম নির্যাতন করে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার গভীর চক্রান্তের মধ্যে এই সরকার লিপ্ত রয়েছে। আপনারা জানেন, এই সরকার কার সরকার, কাদের সরকার।

উপস্থিত জাসাসের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আজকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। এই দেশে যে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, কথা বলতে ভয় লাগে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাতে নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীনে যে সরকার আসবে তাকে সবাই সমর্থন করবে। সেই সংগ্রামে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।  

গত কয়েক দফায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেড় শতাধিক খুন হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, আজকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনের জন্য সংলাপের কথা বলেন। কিসের সংলাপ, কী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন? এই বর্তমান নির্বাচন কমিশন তো আপনারাই গঠন করেছিলেন, আমরা তার প্রতিফলন দেখছি। বিভিন্ন ইউনিয়নে রক্ত ঝরছে। মানুষের জীবন ঝরছে। গতকালও তিনজন নিহত হয়েছে। সুতরাং এই বিদায় বেলায়ও নির্বাচন কমিশন যে দৃষ্টান্ত দেখালেন, সেখানে মানুষের লাশ। সুতরাং রাষ্ট্রপতির সংলাপ যে ভণ্ডামির সংলাপ (তা বোঝা যাচ্ছে), এই সংলাপের উদ্দেশ্যই হচ্ছে আরেকটি হুদা ও রকিব মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিনের ভোট রাতে করা। 

এএইচআর/এইচকে