হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেটের সব উপজেলায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর ও সিলেট বিভাগের সব জেলায় ২৫ ডিসেম্বর বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি।

আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন রাজনেতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সমাবেশের আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় দলীয় কার্যলয়ের সামনে সমাবেশের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জয়নাল আবেদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। দুপুর ২টার কিছু আগে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে রওনা হন। এ সময় শায়েস্তানগর পয়েন্টে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

পুলিশ পরিকল্পিতভাবে ওই হামলা করেছে অভিযোগ করে আজকের সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ হামলা করে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এর মধ্যে দশ জনের অবস্থা গুরুতর। এ হামলার জন্য হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুরাদ আলী, ওসি মাশুক আলী ও ওসি নাজমুল হাসানকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে কথাটা মূলত বলতে চাই, সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক পরিসরকে একেবারেই সংকুচিত করে ফেলছে। আমাদের এই কর্মসূচিগুলো একেবারেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছিল, কোনোভাবেই এই কর্মসূচিগুলোতে শান্তি ব্যাহত হয়নি, অন্তত বিএনপির মাধ্যমে হয়নি। অথচ তারা পরিকল্পিতভাবে সমাবেশগুলোতে বাধা দিচ্ছে। হবিগঞ্জ বিএনপির শক্ত ঘাঁটি, তাই এখানকার  সমাবেশে গুলিবর্ষণ করে সমাবেশ বানচালের চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এভাবে দমন-পীড়ন, গুলিবর্ষণ ও গুম খুন করে জনগণের ন্যায়সংগত ও যুক্তিপূর্ণ দাবি গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার যে দাবি তা দাবিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে যেভাবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে তাতে বোঝা যায় এদেশের মুক্তিকামী জনগণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুখ, খন্দকার মুক্তাদির আহমেদ এবং সাবেক সাংসদ শাম্মী আক্তার।

এমএইচএন/এনএফ