সরকার পুলিশকে লাঠিয়ালে পরিণত করেছে : রিজভী
ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার নয়াপল্টনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশের অংশ হিসেবে আজ ছয়টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হবিগঞ্জে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পুলিশকে অবহিতপত্র দেওয়া হয়েছিল। দুপুর ১২টায় শায়েস্তানগর দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পরপরই পুলিশ বিনা উসকানিতে অতর্কিত হামলা চালায়, গুলিবর্ষণ করে। এতে আমাদের তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
বিজ্ঞাপন
তিনি দাবি করেন, পুলিশের গুলিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক, ছাত্রদল হবিগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রিঙ্গন, যুবদল জেলা সাধারণ সম্পাদক জালাল, ছাত্রদল জেলা সদস্য সাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা শরীফ, ছাত্রদল জেলা সদস্য আরশাদ, জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক শফিকুর রহমান সিতু, ছাত্রদল জেলা যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আহাদ তুষার, মৎস্যজীবী দল নেতা মোবারক হোসেন, শিপন আহমেদ, শাহজাহান, জাহির আলী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রিঙ্গনসহ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, হবিগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণ বর্বরোচিত, কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক। বন্দুকের জোরে ক্ষমতাসীনরা অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এ হামলা চালিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, সরকার দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন লাঠি ও গুলিকেই আশ্রয়স্থল মনে করছে। গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সহিংস সন্ত্রাসের চর্চা করছে। পুলিশকে বানিয়েছে সরকারি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের হাতিয়ার। মানুষের সমাবেশ দেখলেই এদের মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম হয়।
সরকার জনগণের ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছে- দাবি করে রিজভী বলেন, দেশব্যাপী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক চলছে। হবিগঞ্জে পুলিশের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।
এএইচআর/আরএইচ