‘উন্নয়ন ধুয়ে খাওয়া যাবে না, যদি মানুষের অধিকার না থাকে’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তা উপেক্ষিত। উন্নয়ন ধুয়ে খাওয়া যাবে না, যদি মানুষের অধিকার না থাকে। যে জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার, সেসব হচ্ছে না। যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল, সেটি এখনো পূরণ হয়নি।
আজ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে গণফোরাম আয়োজিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার চোখে আজ ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
গণফোরামের এক অংশের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, এ দেশের মানুষের পথ নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। আর কোনো আপস নয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০১৮-এর নির্বাচনের পর দেশে আর গণতন্ত্র নেই। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে আবার লড়তে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমাদের এখানে শাসক পরিবর্তন হয়েছে, রাষ্ট্র পরিবর্তন হয়নি। এখানে পাকিস্তানি-ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থা রয়ে গেছে। এ নিয়ে আত্ম সমালোচনা, আত্ম পর্যবেক্ষণ নেই। এই জালিম-জুলুমের শেষ কোথায় আমি দেখে যেতে চাই। এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। জনগণ এ দেশের মালিক। তাদের হাতেই ক্ষমতা দিতে হবে।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, একাত্তরে সামরিক স্বৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে মনে হচ্ছে সেই স্বৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী শাসন আবার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বরং পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়েছে। এই কর্তৃত্ববাদী শাসনে জনগণের মালিকানা নেই, ভোটাধিকার নেই।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
এমএইচএন/এইচকে