গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ইউটিউব সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব জায়গায় কিন্তু প্রমাণ রয়েছে কারা গণ অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের উপর হামলা করেছে। শরীয়তপুরে এমপি ইকবাল হোসেন অপু নেতৃত্বে হামলা হয়েছে, জামালপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে হামলা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে যদি আপনারা পদক্ষেপ না নেন, তাহলে পরবর্তী কর্মসূচি ও অ্যাকশন দেখতে পাবেন।

তিনি আরও বলেন, যারা আমার ভাই বোনদের রক্ত ঝরিয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবিতে আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হবে। আওয়ামী লীগের উপর পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ভর করেছে। যে কারণে বিজয় দিবসে তারা আমার ভাই বোনদের উপর হামলা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এসব কথা বলেন। বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে কুমিল্লা, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, জামালপুর, রাঙামাটি, পাবনা, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, স্বাধীনতার তিন জীবন্ত কিংবদন্তিকে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেন না। আ স ম আবদুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। তিনি কি ওই অনুষ্ঠানে আছেন? নেই। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বাঘা বীর উপাধি পেয়েছিলেন, তিনিও ওই প্রোগ্রামে নেই। ঝলমলে লাইট জ্বালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলবেন, মানুষ সেই চেতনা খাবে। মানুষ কী আপনাদের মতো ভোদাই?

ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের ভালো চাইলে ছাত্রলীগ গুন্ডা লীগের লাগাম টেনে ধরুন। যদি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় তবে কপালে যা লেখা আছে তাই হবে। ছাড় কিন্তু দেবো না।

এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এসকেডি