বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭১ সালের শাসনামল আর বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের আরেকটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনীর উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, চলাচলসহ সব কিছু থেকে আমরা আজ বঞ্চিত। যে প্রেরণার কারণে যুদ্ধ হয়েছে, ৯ মাসের যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়েছে সেই অর্জনের প্রকৃত অর্থেই এদেশের মানুষ সুবিধা পায়নি। কারণ মূল দাবিটাই ছিল গণতন্ত্র। পশ্চিমাদের মতোই দেশ চলছে। ভোট নেই, নির্বাচন নেই, ভোট কেন্দ্রে এখন চতুষ্পদ প্রাণী ভোট দিতে যায়। আর না হলে নিশিরাতেই ভোট হয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত টিক্কা খান যে অন্ধকার নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বর্তমানেও তাই চলছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশে বর্তমানে ভয়ংকর শাসন চলছে। রাত হলে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার ভয় আর না হলে মিথ্যা মামলা দিয়ে যেকোনো মুহূর্তে আপনাকে কারাগারে নিয়ে যাবে। এ রকম একটা ভয়ংকর অরাজকতার মধ্যে আমরা বাস করছি। ১৯৮১ আর শেখ হাসিনার আমলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবুও বাঁচতে হলে আমাদের মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, জাসাস প্রতিবারই ১৬ ডিসেম্বরে বাইরে প্রোগ্রাম করে। কিন্তু এই কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের সরকার শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের এবার সেই সুযোগটি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এখানে তারা অনুষ্ঠানটি করেছে। আমাদের গণতন্ত্রের পরিসর বৃদ্ধি করার জন্য সাংস্কৃতিক কর্মীদল দল তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি