আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রতিদিন চিৎকার করে যাচ্ছে। কিন্তু কোন যুক্তিতে, কোন আইনের বলে আপনারা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছেন, সে ব্যাখ্যা নেই।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, লন্ডনে বসে তারেক রহমান ষড়যন্ত্র করে সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর মির্জা ফখরুল প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্ষমতা যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এই স্বপ্ন কখনো সফল হবে না । এটা ভাবার কারণ নেই যে, আওয়ামী লীগ ছোট ও দুর্বল সংগঠন।

হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা মানবিকতার কথা বলছেন। অভিযোগ করছেন সরকার নাকি মানবিক নয়। মির্জা ফখরুল সাহেব আপনারা মানবিকতার কথা যদি বলেন, তাহলে তো আপনাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিএনপির বড় বড় আইনজীবীরা খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত, তার দণ্ড স্থগিত। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। তিনি দেশের মধ্যে যে কোনো জায়গায় চিকিৎসা নিতে পারেন এবং তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর থেকে কী মানবিকতা আশা করতে পারেন। এর চেয়ে মানবিকতা দেখানোর সুযোগ কোথায়? এরপরও বিএনপি নেতারা মানিবকতার কথা বলছেন। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার প্রতি যে মানবিকতা দেখানো হয়েছে তা বিতর্কিত করার জন্য প্রতিদিন বিএনপি নেতারা মানবিকতার দোহাই দেন। আপনাদের অমানবিক কাজগুলো মানুষের সামনে থেকে ঢেকে রাখার জন্য এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, কয়েকদিন আগে মির্জা ফখরুল বলেছেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা ও প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। মির্জা ফখরুলের বাবা ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী। মির্জা ফখরুলও স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির করার জন্য আজকে স্বাধীনতা বিরোধীদের মুক্তিযোদ্ধা বানাতে চান। বেগম খালেদা জিয়া কোন যুক্তিতে মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন? আমি আজকে মির্জা ফখরুলকে আহ্বান জানাব এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ  ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএম/এসকেডি